স্বাস্থ্য সহকারীরা বড় বিপদে

★★সন্তানের বয়স কমিয়ে নিজে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার এবং ভবিষ্যতে সন্তানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার চিন্তাধারা বিশেষত শিক্ষিত মানুষগুলোর মধ্যে বেশি।

যেহেতু বর্তমানে টিকার কার্ড ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করা হচ্ছে না এবং টিকার কার্ডগুলো আমরা দিয়ে থাকি তাই প্রায়ই অনেক বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন বা কর্মএলাকার মানুষ কার্ডে বাচ্চার বয়স কমানোর আর্জি নিয়ে আসেন।

এটা খুবই বিব্রতকর একটা ব্যাপার। তাঁদেরকে বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করি যে, এটা রাষ্ট্রীয় আইন ও নৈতিকতা বিবর্জিত তবু শেষ পর্যন্ত খুব কম মানুষই সেটা বোঝেন। অনিবার্য কারণবশত ইতিমধ্যে অনেকের বিরাগভাজন হয়েছি।

আত্মীয় স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছে দূরের সবাইকে অনুরোধ করবো, অনুগ্রহ করে সন্তানের বয়স কমানোর আর্জি নিয়ে এসে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না।

আমি নিজে আমার সন্তানের বয়স কমাইনি, কমানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও পোষণ করি না। কারণ আমার দৃঢ় বিশ্বাস মিথ্যা দিয়ে হয়তো সাময়িক সুবিধা আদায় করা যায় কিন্তু তা অতি অবশ্যই সুদুর প্রসারী ক্ষতিই ডেকে আনে।

কাজেই এ ব্যাপারে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ থাকবো।

হাম-রুবেলা ট্রেনিং সহ সকল কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

১৯৯৮সালে স্বাস্থ্য সহকারীদের এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য বিভাগের তৃনমূলের প্রান স্বাস্থ্য সহকারীদের “টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল” এর ঘোষনা দিয়েছিলেন৷

২০১৮সালে এক সমাবেশে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও একই ঘোষনা দিয়েছিলেন৷ দীর্ঘ ২১বছরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই ঘোষনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ কর্মসূচী ঘোষনা করেছেন৷ সেই কর্মসূচীর আলোকে সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়ও ২২/০১/২০২০ইংরেজী হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচীর রেজিষ্টেশন ও প্রশিক্ষন বর্জন করে আসছে স্বাস্থ্য সহকারীরা৷ এবং আগামী ২২/০২/২০২০ইং হইতে মাঠ পর্যায়ের হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী সহ সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচীর সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা৷

জানা যায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার এক জরুরী সভা সদর উপজেলার সিভিল সার্জন হল রুমে অনুষ্টিত হয়৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় পরিষদের সদস্য মোঃ নেজাম উদ্দিন বক্তব্য রাখেনঃ জেলা সাধারন সম্পাদক ,মোঃ আকবর আলী, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ আজাহার উদ্দিন , সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমির সরকার, স্বাস্থ্যসহকারী মোঃ ইব্রাহীম হোসেন প্রত্যেক উপজেলার সভাপতি, সাধারণসম্পাদক গন।

সভায় জেলা সভাপতি কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অবহিত করে কর্মসূচী পালনে সকল উপজেলার সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন৷ সভায় বক্তাগন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচী পালনে নিজ নিজ উপজেলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন৷ এবং আগামী ২২/০২/২০ ইংরেজী হইতে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী সহ সকল কার্যক্রম বর্জনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন৷

সাদা মনের মানুষ

দই বিক্রির টাকা দিয়ে পাঠাগার!

নিজে ক্ষুধার জ্বালায় পঞ্চম শ্রেনীর বেশি যেতে না পারলেও নিজ গ্রামকে আলোকিত করে যাচ্ছেন নিজ প্রতিষ্ঠিত পাঠাগার দিয়ে!

একজন সাদা মনের মানুষের পক্ষেই এমনটা সম্ভব!

বেতনস্কেলসহটেকনিক্যালপদমর্যাদারদাবিতে


কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশে একযোগে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের প্রশিক্ষণ সহ সকল কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা

★বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের সকল কার্যক্রমসহ প্রশিক্ষণ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সকল স্বাস্থ্য সহকারীগণ।
এতে করে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী সারা দেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জেও হাম-রুবেলা ক্যাম্পইনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যার ফলে হামের টিকা থেকে বঞ্চিত হবে এ জেলার কয়েক লাখ শিশু।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। তবে স্বাস্থ্য সহকারীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনটি বর্জনের ঘোষণায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই মহাগুরুত্বপূর্ণ ক্যাম্পেইন (এখানে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের সকল শিশুকে টিকা দেওয়া হবে) ।
এদিকে স্বাস্থ্য সহকারীরা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচীর ৪ দফা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ইপিআইসহ ক্যাম্পেইনের সকল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ১ জানুয়ারী থেকে ৪ দফা দাবীতে বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে ১৪ তম গ্রেডে উন্নতিকরণ, স্বাস্থ্য সহকারিদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের ডিপ্লোমা কোর্স দ্রুত চালু করা, প্রতি ৬ হাজার লোকের বিপরীতে ২ জন করে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ করা এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের এমএসআই মাধ্যমে নীড় পাতায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবী করেন।
এদিকে স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ১৯৭৯ সালে ৭ এপ্রিল সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচী (ইপিআই) চালু হওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য সহকারীরা এ কর্মসূচীর আওতায় দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রে সফল ভাবে টিকা প্রদান করে বর্তমানে ১০টি মারাত্বক সংক্রামিত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করছেন। এবং স্বাস্থ্য সহকারীদের পরিশ্রমের অর্জনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ইমিউনাইজেশন কর্মসূচীর সফলতার জন্য গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভী) কর্তৃক পেয়েছে পুরস্কার, ২০১০ সালে ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর জন্য জাতিসংঘের এমডিজি-৪ অ্যাওয়ার্ড, ২০১১ সালে শিশুমৃত্যু-মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য সাউথ সাউথ পুরষ্কার, ২০১২ সালের বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচীর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় (গ্যাভি) কর্তৃক টিকাদানকারী দেশের অ্যাওয়ার্ড,২০১৪ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ টিকাদানকারী দেশের অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশকে দিয়েছে পোলিও নির্মুলের সনদ, ২০১৬ সালে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) কর্তৃক বাংলাদেশকে পোলিও নির্মূলে সাফল্যের স্বীকৃতি সনদ প্রদান, ২০১৬ সালে ধনুষ্টকার নির্মুলের সনদ অর্জন এবং সর্ব শেষ ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন এন্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) কর্তৃক শিশুদের টিকাদান কর্মসূচীর ব্যাপক সাফল্যের জন্য #ভ্যাকসিন_হিরো সম্মাননা ভূষিত হয়েছেন।
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাস্থ্য সহকারীদের পরিশ্রমের বিনিময়ে সরকার প্রধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরিচিত ও প্রশংসনীয় হলেও মানব শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা তৃণমূলের স্বাস্থ্য সহকারীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।
★মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকা কালিন স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যদার দাবি বাস্তবায়নে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু এটা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
তাই স্বাস্থ্য পরিদর্শক,সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সকল স্বাস্থ্য সহকারীগণ সমন্বয়ে সে ঘোষিত দাবি বাস্তবায়ন চেয়েছেন।
তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।

জরুরি বিজ্ঞপ্তি

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।

আগামী ২১/০১/২০২০ ইং তারিখ রোজ মঙ্গল বার সন্ধা ৭ টার সময় বি,এইচ,এ,এ র সমন্বয় পরিষদের এক জরুরী সভার আহ্বান করা হয়েছে।
সমন্বয় কারীদের ০৬ জনের পক্ষ থেকে দাবী বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সমন্বয়ক সহ বাকি সকল সদস্য গণ কে উক্ত সভায় উপস্হিত হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
স্হানঃ হোটেল পীর ইয়ামেনি, ঢাকা।

Design a site like this with WordPress.com
Get started